বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: জোর জার মূল্লুক তার। এই কথার জেন এবার বাস্তবতা দেখলো কাশীপুর বাসী। বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের লাকুটিয়া বাজার ব্রীজ সংলগ্ন সরকারী খাস জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, স্থানীয় বেকারী ব্যাবসায়ী রিপন হাওলাদার ও আজাহার নামের দুই ব্যক্তি সারশী দিঘী খাল দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় লাকুটিয়া বাজারের পূর্ব পাড়ের খালের পাশে সরকারি খালের জমি দখল করে রিপন হাওলাদার দোকান ঘর নির্মাণ করছে। আর খাল দখল দিতে তাকে সাহায্য করছেন স্থানীয় আজাহার সহ একাধিক ব্যক্তি । দিঘীর সেই শত বছরের ঐতিহাসিক সরকারি খালটি ভরাট করে একপাশে রিপন হাওলাদারের সোনালী বেকারী নামে একটি কারখানা তৈরি করেছেন। আরেক পাশ দখল নিতে নির্মান কাজ চালিয়ে আসছে। স্থানীয়দের দাবি, নির্মাণের শুরুতেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে অবহিত করলেও কোনও প্রতিকার হয়নি। কারণ রিপন ও আজাহার দুইজনই ক্ষমতাসীন। তাদের টাকার কাছে সবাই জিম্মি হয়ে রয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, লাকুটিয়া সারশি দিঘীর সাথে লাকুটিয়া খালের একটি সংযোগ ছিলো। সেই খালটি ভূমিদস্যুরা ধীরে ধীরে বিভিন্ন ভূয়া কাগজ পত্র তৈরি করে দখল দিয়ে প্রায় ২০/৩০টি দোকান ঘর নির্মান করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছে।
পরে দিঘীর শেষ প্রান্তে বাকিটুকু খাল দখল করে নির্মানধীন ভবন তৈরি করছেন রিপন ওরফে বিস্কুট রিপন ও আজাহার। তবে এবিষয় জানতে চাইলে রিপন বলেন, আমি ৩১ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি। ভাই এই জমির মালিক আমি । আমার সব কাগজপত্র আছে। কিন্তু জমির কাগজ পত্রে দেখাযায় যায় পাওয়ার হিসাবে মালিক দাবিদার রিপন ও আজাহার। তাদের নামে জমির কোন রেকর্ড বা পরচা দেখাতে পারে নাই।
তবে এবিষয় লাকুটিয়ার স্থানীয় বাসিন্দারা সরকারি জমি রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ২০জন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র জমা দেন। তাদের দাবি যে কোন ভাবে এই শত বছরের পুরনো ঐতিহাসিক খালটি রক্ষা করতে হবে। এবিষয় জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা। এদিকে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুমন মীর বলেন, খাল দখল করেই রিপন সাহেব পাকা ভবন নির্মান করছেন।
তার আগের যে কারখানা রয়েছে সেটা ও খাল দখল করে করা হয়েছে। পদ্মা (সারশি) দিঘীর সাথে লাকুটিয়া খালটির একটি সংযোগ ছিলো। খালটি পাশে প্রায় ৬০ফুট ছিলো এবং লম্বা প্রায় ২/৩ কিলোঃ। কিন্তু বর্তমানে খালটি ভরাট করে রিপনসহ বিভিন্ন লোক বাড়ি, কারখানা, বর্তমানে ২ফুট ও নাই খালের জমি। ঘর নির্মাণ করে দখল করে রেখেছে। আমরাও চাই শত বছরের স্মৃতি জড়ানো খালটি যেন আবার প্রাণ ফিরে পায়। অপরদিকে রিপনের এই দখল মিশন থামাবে কে ? এমনটি প্রশ্ন স্থানীয় বাসীন্দাদের মাঝে। ছদ্মনাম বকুল নামে এক ব্যক্তি জানান, রিপন বেকারী দিয়ে এলাকায় কিশোর গ্যাং লালন পালন করেন। কোন প্রোগ্রাম হলেই সেখানে ফ্রিতে বিস্কুটসহ বেকারীর তৈরি করা খাবার বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেন। তবে বরিশাল সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান বলেন, শত বছর পুরনো সরকারী খাল কেউ দখল করবে তা হবে না। খালটি উদ্ধার করার জন্য সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।আমি এখনই এ বিষয় ব্যবস্থা গ্রহন করছি।